১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ ঢাকা, সারা বাংলা বাঙালিরা ঐতিহাসিকভাবেই বুদ্ধিবৃত্তিক ও ইতিবাচক জীবনবোধের অনুসারীঃ আইজিপি
২৫, সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:১৩ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বাঙালিরা এই উপমহাদেশে সব সময়ই বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনবোধে বিশ্বাসী ছিল। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির দিক থেকেও এই উপমহাদেশে বাঙালিরা এগিয়ে রয়েছে। এ থেকেই অনুমেয় যে, বাঙালিরা ঐতিহাসিকভাবেই বুদ্ধিবৃত্তিক ও ইতিবাচক জীবনবোধের অনুসারী। বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠনে দাবা খেলার ভূমিকা অপরিসীম।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত জয়তু শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন চেস টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি সাউথ এশিয়ান চেস কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ চেস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট। সাউথ এশিয়ান চেস কাউন্সিলের উদ্যোগে এই টুর্নামেন্টের আয়োজনে আরেও রয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং গোল্ডেন স্পোর্টিং চেস ক্লাব।

আইজিপি বলেন, বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করি, আমাদের ছেলেমেয়েরা, যুব সমাজ, শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের হয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার নিয়ে আসছে তারা। যদি আমরা দাবা খেলাকে আরও বেশি ছড়িয়ে দিই, তাহলে এই প্রক্রিয়াকে অধিকতর ত্বরান্বিত করা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান জাতি, আমরা উন্নয়নবান্ধব, ভবিষ্যতমুখী ও খেলাবান্ধব একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক মানবিক বিকাশ আমাদের এই অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অধিকতর টেকসই করবে, যার সুবিধাভোগী হবে দেশের কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সকল নাগরিক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুষম ও টেকসই উন্নয়নের জন্য দাবাখেলা নিয়ে আইজিপি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে পার্কে দাবা খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। জেলখানায় কয়েদিদের জন্য দাবা খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। মানসিক চাপ ও অবসাদ দূরীকরণেও দাবা খেলার সুফল রয়েছে।

বাংলাদেশেও আগামী প্রজন্মের সুকোমল বৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্মেষের জন্য দাবা খেলাকে ছড়িয়ে দিতে ও জনপ্রিয় করতে স্কুলভিত্তিক দাবা খেলার প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের জন্য একটি স্থায়ী ভবন নির্মানের উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন।

নবীন খেলোয়াড়দের মান উন্নয়নের জন্য নিয়মিত উন্নত মানের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ড. বেনজীর বলেন, দাবা ফেডারেশনের আর্থিক সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দাবা খেলোয়াড়রা যাতে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়, আরও বেশি উৎসাহী হয় এবং বিশ্ব পরিমণ্ডলে আগামী সময়ে এর মাধ্যমে আমরা আরও বেশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে পারি। এ কারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগে সহযোগী হতে বাংলাদেশের বড় বড় করপোরেট হাউজগুলো এগিয়ে আসতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৫টি দেশের ১৭ জন গ্র্যান্ড মাস্টারসহ মোট ৭৪ জন প্রতিযোগী এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে টুর্নামেন্ট উপভোগ করার আহ্বান জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ চেস ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট চৌধুরী নাফিস শরাফত, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, এশিয়ান চেস ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি হিশাম আল তাহের, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নির্বাহী চেয়ারম্যান শাহনুল হাসান খানসহ অনেক গ্র্যান্ডমাস্টার ও খেলোয়াড়বৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ইরান, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ভারতের অনেক দাবা খেলোয়াড় ও গ্র্যান্ডমাস্টার অনলাইনে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

 

 

তথ্য, mp news